ময়মনসিংহে এখনো ইফতারের আইটেমে জাকির মিয়ার ‘টক মিষ্টি জিলাপি’ শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। পবিত্র রমজানে ডাল-চালের এই চুটকি জিলাপি নগরের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাদে অনন্য। তবে এর পরই এখন জনপ্রিয় রোম থ্রি রেস্টুরেন্টের ঘিয়ে ভাজা জিলাপি। নগরের জিলা স্কুল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জাকির মিয়ার ব্যতিক্রমী টক মিষ্টি জিলাপি কিনতে আসরের নামাজের আগেই সাধারণ মানুষের ভিড় শুরু হয়। দামও নাগালের মধ্যে। গেল বছরের মতোই এবারও দাম রাখা হচ্ছে কেজি ১২০ টাকা। অনেকটা লাইনে দাঁড়িয়েই কিনতে হচ্ছে এমন সুস্বাদু জিলাপি। আর রোম থ্রি রেস্টুরেন্টের ঘিয়ে ভাজা প্রতি কেজি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। দাম একটু বেশি হলেও বেশ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই ময়মনসিংহ নগরের বিভিন্ন স্থানে চলছে ইফতারের প্রস্তুতি। নগরের সি কে ঘোষ রোড, নতুন বাজার, ওল্ড পুলিশ ক্লাব রোডসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। নগরের সারিন্দা, রোম থ্রি, ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্ট ও পাক মুসলিম হোটেলসহ নামিদামি হোটেল নিত্যনতুন ইফতারের আইটেম নিয়ে হাজির হয়। এসব আইটেমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পিয়াজু, বুট, জিলাপি, বেগুনি, মুরগির গ্রিল, হালিম, আলুর চাপ, ডিম চাপ, চিকেন সাসলিক, মাটন কাঠি, চিকেন অনথন, চিকেন রোল, চিকেন ফ্রাই, স্পেশাল অনথনসহ নানা ইফতারি-সামগ্রী। আবার ভ্যাপসা গরমে অনেকে ইফতারি আইটেমে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন হরেক রকমের ফল। মৌসুমি ফল আম বাজারে থাকায় এবং দামও সহনীয় পর্যায়ে হওয়ায় নগরের নতুন বাজার ও চরপাড়া মোড়ের ফলের দোকানগুলোয় চলছে ধুম বেচাকেনা। আর ইফতারে প্রয়োজনীয় উপাদান খেজুরও রয়েছে রোজাদারের চাহিদার শীর্ষে। নগরের মোড়ে মোড়েও হরেক আইটেমের জিলাপিরও পসরা বসানো হয়েছে। এসবের পাশাপাশি নগরের নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোয় চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও বন্ধু মহলের ইফতার পার্টি। পছন্দের ইফতারি কিনে নিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই একসঙ্গে টেবিলে বসে যাচ্ছেন। মাগরিবের আজানের মধ্য দিয়ে থেমে যাচ্ছে সব কোলাহল। তবে যানজটের কারণে এবার প্রশাসন থেকে ফুটপাথে ইফতারির দোকান বসানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ চিত্র কেবল নগরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ের। কিন্তু পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে কিংবা খাবারের দোকানের সামনে সড়কের পাশে পাতা টেবিলে ঠিকই শোভা পাচ্ছে বৈচিত্র্যময় সব ইফতারি আইটেম।