২০১৫–১৬ বুন্দেসলিগা
মৌসুম | ২০১৫–১৬ |
---|---|
তারিখ | ১৪ আগস্ট ২০১৫ – ১৪ মে ২০১৬ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২৫তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২৬তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | স্টুটগার্ট হানোফার |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বায়ার লেভারকুজেন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
ইউরোপা লীগ | শালকে মাইনৎস হের্টা |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৬৬ (ম্যাচ প্রতি ২.৮৩টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | রবের্ত লেভানদোভস্কি (৩০টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | ভলফসবুর্গ ৬–০ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট ৬–২ কলন ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৬–২ স্টুটগার্ট |
দীর্ঘতম টানা জয় | ১০ ম্যাচ[১] বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ১৫ ম্যাচ[১] বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ৯ ম্যাচ[১] স্টুটগার্ট |
দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৮ ম্যাচ[১] হানোফার |
সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮১,৩৫৯[১] বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৪–০ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (১৫ আগস্ট ২০১৫) |
সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ১৩,৫০০[১] ইঙ্গলস্টাট ১–০ মাইনৎস |
গড় উপস্থিতি | ৪৩,৩০৯ |
← ২০১৪–১৫ ২০১৬–১৭ → |
২০১৫–১৬ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫৩তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০১৫ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১৪ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২] বায়ার্ন মিউনিখের মরক্কী রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মিধি বেনাতিয়া এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৪–১৫ মৌসুমে ৭৯ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২৪তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৮৮ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২৫তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২৬তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৪] বায়ার্ন মিউনিখের পোলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রবের্ত লেভানদোভস্কি ৩০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
[সম্পাদনা]প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দল
[সম্পাদনা]২০১৪–১৫ মৌসুম শেষে ফ্রাইবুর্গ এবং পাডারবর্ন মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ইঙ্গলস্টাট এবং ডার্মস্টাট বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে হামবুর্গার ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব কার্লস্রুহারের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে হামবুর্গার বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ | ডব্লিউডব্লিউকে এরিনা | ৩০,৬৬০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ৩০,২১০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭৫,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮১,৩৫৯[৫] |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০১০ |
ডার্মস্টাট | ডার্মস্টাট | বোলেনফালটর মার্ক স্টেডিয়াম | ১৭,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫১,৫০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৫৭,০০০ |
হানোফার | হানোফার | এইচডিআই আরেনা | ৪৯,০০০ |
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,৪৭৫ |
১৮৯৯ হফেনহাইম | সিনশাইম | ভিরসোল রাইন নেকার এরিনা | ৩০,১৫০ |
ইঙ্গলস্টাট | ইঙ্গলস্টাট | আউডি স্পোর্টপার্ক | ১৫,০০০ |
কলন | কোলন | রাইন এনার্গি স্টেডিয়াম | ৫০,০০০ |
মাইনৎস | মাইনৎস | মেভা এরিনা | ৩৪,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬২,২৭১[৬] |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৬০,৪৪১ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০[৭][৮] |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৮ | ৪ | ২ | ৮০ | ১৭ | +৬৩ | ৮৮ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ২৪ | ৬ | ৪ | ৮২ | ৩৪ | +৪৮ | ৭৮ | |
৩ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৮ | ৬ | ১০ | ৫৬ | ৪০ | +১৬ | ৬০ | |
৪ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৭ | ৪ | ১৩ | ৬৭ | ৫০ | +১৭ | ৫৫ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | শালকে | ৩৪ | ১৫ | ৭ | ১২ | ৫১ | ৪৯ | +২ | ৫২ | ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৬ | মাইনৎস | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৪৬ | ৪২ | +৪ | ৫০ | |
৭ | হের্টা | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৪২ | ৪২ | ০ | ৫০ | ইউরোপা লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৮ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪৭ | ৪৯ | −২ | ৪৫ | |
৯ | কলন | ৩৪ | ১০ | ১৩ | ১১ | ৩৮ | ৪২ | −৪ | ৪৩ | |
১০ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪০ | ৪৬ | −৬ | ৪১ | |
১১ | ইঙ্গলস্টাট | ৩৪ | ১০ | ১০ | ১৪ | ৩৩ | ৪২ | −৯ | ৪০ | |
১২ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৪২ | ৫২ | −১০ | ৩৮ | |
১৩ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৫০ | ৬৫ | −১৫ | ৩৮ | |
১৪ | ডার্মস্টাট | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৩৮ | ৫৩ | −১৫ | ৩৮ | |
১৫ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ৯ | ১০ | ১৫ | ৩৯ | ৫৪ | −১৫ | ৩৭ | |
১৬ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (O) | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৩৪ | ৫২ | −১৮ | ৩৬ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | স্টুটগার্ট (R) | ৩৪ | ৯ | ৬ | ১৯ | ৫০ | ৭৫ | −২৫ | ৩৩ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | হানোফার (R) | ৩৪ | ৭ | ৪ | ২৩ | ৩১ | ৬২ | −৩১ | ২৫ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল; ৪) হেড-টু-হেড পয়েন্ট; ৫) হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য; ৬) হেড-টু-হেড অ্যাওয়ে গোল; ৭) অ্যাওয়ে গোল; ৮) প্লে-অফ।[৯]
(C) চ্যাম্পিয়ন; (O) প্লে-অফ বিজয়ী; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ ২০১৫–১৬ ডিএফবি-পোকালের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি ষষ্ঠ স্থান অধিকারী ক্লাব মাইনৎসকে প্রদান করা হয়েছিল এবং উয়েফা ইউরোপা লীগে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি সপ্তম স্থান অধিকারী ক্লাব হের্টাকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফল
[সম্পাদনা]শীর্ষ গোলদাতা
[সম্পাদনা]অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল[১০] |
---|---|---|---|
১ | রবের্ত লেভানদোভস্কি | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩০ |
২ | পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২৫ |
৩ | থমাস মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ২০ |
৪ | হাভিয়ের এর্নান্দেস | বায়ার লেভারকুজেন | ১৭ |
৫ | অঁতোনি মোদেস্তে | কলন | ১৫ |
৬ | সালোমন কালু | হের্টা | ১৪ |
৭ | ক্লাউদিও পিসারো | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৮ | জান্দ্রো ওয়াগনার | ডার্মস্টাট | |
৯ | ডানিয়েল ডিডাভি | স্টুটগার্ট | ১৩ |
১০ | রাফায়েল | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "ESPN FC 2015-16 Bundesliga Statistics"। ESPN FC। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Bundesliga 2015/2016 » Schedule"। WorldFootball.net। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "Bayern München - Hamburger SV 5:0 (Bundesliga 2015/2016, 1. Round)"। worldfootball.net। ১৪ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Bundesliga: Rekord-Titelgewinn für FC Bayern" [Bundesliga: Record title for FC Bayern]। welt.de (জার্মান ভাষায়)। Die Welt। ৭ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৬।
- ↑ "Dortmunder Stadion wird ausgebaut" (জার্মান ভাষায়)। Sport1। ১৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Schalke erhöht Stadionkapazität"। kicker.de (জার্মান ভাষায়)। Kicker। ৩০ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Weser-Stadion"। werder.de (জার্মান ভাষায়)। SV Werder Bremen GmbH & Co KGaA। n.d.। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Die Kapazität der 18 Bundesliga-Stadien"। RP Online (জার্মান ভাষায়)। Düsseldorf: RP Digital GmbH। n.d.। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Bundesliga 2015/2016 - Season rules"। Scoresway। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Torjäger" [Goalscorers] (জার্মান ভাষায়)। DFL। ৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)