সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল
সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল 佐賀県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 佐賀県 |
• রোমাজি | Saga-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কিউশু |
দ্বীপ | কিউশু |
রাজধানী | সাগা |
আয়তন | |
• মোট | ২,৪৩৯.৫৮ বর্গকিমি (৯৪১.৯৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪২ তম |
জনসংখ্যা (১লা ডিসেম্বর ২০১৩) | |
• মোট | ৮,৩৯,৪৫৮ |
• ক্রম | ৪২ তম |
• জনঘনত্ব | ৩৪৪.১০/বর্গকিমি (৮৯১.২/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-41 |
জেলা | ৬ |
পৌরসভা | ২০ |
ফুল | কর্পূর ফুল (সিনামোমাম ক্যাম্ফোরা) |
গাছ | কর্পূর গাছ (সিনামোমাম ক্যাম্ফোরা) |
পাখি | কালোঠোঁট ম্যাগপাই (পিকা পিকা) |
ওয়েবসাইট | www |
সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল (佐賀県? সাগা কেন্) হল জাপানের কিউশু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী সাগা নগর।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাচীন যুগে বর্তমান সাগা ও নাগাসাকি প্রশাসনিক অঞ্চল দুটি একত্রে হিযেন প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[২] বর্তমান নামটি মেইজি পুনর্গঠনের সময়কার। এই সময় অর্থাৎ ১৮৭১ খ্রিঃ ১৪ই নভেম্বর সদ্যগঠিত সাগা, হাসুইকে, ওগি, কাশিমা, কারাৎসু ও ৎসুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চলকে একত্র করে ইমারি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়। পরের বছর ২৯শে মে ইমারি প্রশাসনিক অঞ্চলের নাম পালটে রাখা হয় সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮৭৪ এর ফেব্রুয়ারিতে সাগা বিদ্রোহ ঘটে।[৩]
সাগা প্রশাসনিক অঞ্চলে প্রাচীন কাল থেকেই ধান চাষের নিদর্শন পাওয়া যায়। কারাৎসুর নাবাতাকে ও য়োশিনোগারির য়োশিনোগারি ক্ষেত্রে য়ায়োই যুগের ধানের গোলা পাওয়া গেছে।
সামন্ত যুগ
[সম্পাদনা]কামাকুরা থেকে মুরোমাচি যুগ পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলেছিল। সেন্গোকু যুগে কিউশুর এক বিরাট অংশে রিউযোজি পরিবার ক্ষমতা দখল করে। মেইজি যুগের আরম্ভে ১৬০৭ খ্রিঃ নাগাদ রিউযোজি এলাকার অধিকাংশ নাবেশিমা পরিবার দখল করে নেয়।
এদো যুগে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে নাবেশিমা নাওমাসা রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার করার চেষ্টা করেন এবং আরিতা চীনামাটি, সবুজ চা, কয়লা প্রভৃতি স্থানীয় শিল্পে উৎসাহ দেন।
আধুনিক যুগ
[সম্পাদনা]১৮৮৯ এর ১লা এপ্রিল সাগা নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ এর ১লা অক্টোবর এই নগরের সাথে নিকটবর্তী হিগাশিয়্যোকা, কাওয়াসোয়ে ও কুবোতা শহরগুলিকে জুড়ে দেওয়া হয়।
২০১১ এর ১২ই মার্চ কিউশু শিন্কান্সেন রেল পরিষেবা চালু হয়।
ভূগোল
[সম্পাদনা]সাগা হল কিউশু দ্বীপের ক্ষুদ্রতম প্রশাসনিক অঞ্চল। এর উত্তরে গেঙ্কাই সাগর ও ৎসুশিমা প্রণালী, দক্ষিণে আরিয়াকে সাগর। এশীয় মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি হওয়ার কারণে বাণিজ্য ও কূটনীতিতে সাগার গুরুত্ব আছে। একই সাথে সাগা ও কারাৎসু নগরের বাইরে অধিকাংশ অঞ্চলই কৃষিনির্ভর বা বন-জঙ্গলে পূর্ণ।
পার্শ্ববর্তী দুই সাগরেই সাগা প্রশাসনিক অঞ্চলের শাসনাধীন কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। গেঙ্কাই সাগরে এরকম উল্লেখযোগ্য দ্বীপ হল তাকাশিমা, কাশিওয়াজিমা, ওগাওয়াজিমা, কাকারাজিমা, মাৎসুশিমা, মাদারাজিমা, কাবেশিমা, মুকুশিমা ও ইরোহা দ্বীপপুঞ্জ।[৪] আরিয়াকে সাগরে সাগার অন্তর্গত দ্বীপ হল ওকিনোশিমা।
২০০৮ এর মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী সাগা প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১১ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে গেঙ্কাই উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
পর্যটন
[সম্পাদনা]কারাৎসু নগরের কারাৎসু দুর্গ একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। য়োশিনোগারিতে অবস্থিত একটি য়ায়োই গ্রামের ধ্বংসাবশেষ একাধারে পর্যটনকেন্দ্র ও ইতিহাসের আকর। এছাড়া আছে জাপানের তিনটি বৃহত্তম ইনারি তীর্থের অন্যতম য়ূতোকো ইনারি তীর্থ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Nussbaum & Roth (2005), "Saga prefecture", p. 804.
- ↑ Nussbaum & Roth (2005), "Provinces and prefectures", p. 780.
- ↑ Nussbaum & Roth (2005), "Saga no ran", p. 804.
- ↑ "The Saga Sightseeing Information: Nature"। Saga Tourist Federation Information Center (Tourism Division)। সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (PDF)। Ministry of the Environment (Japan)। ১ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২।