বুলগেরিয়া
প্রজাতন্ত্রী বুলগেরিয়া Република България রেপুব্লিকা ব্যেল্গারিয়া | |
---|---|
নীতিবাক্য: Съединението прави силата (Bulgarian) "Suedinenieto pravi silata" (transliteration) "Union makes strength"1 | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | সফিয়া |
সরকারি ভাষা | বুলগেরীয় ভাষা |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | Bulgarian(s) |
সরকার | Parliamentary democracy |
Georgi Parvanov | |
Boyko Borisov | |
স্থাপনা | |
• স্থাপিত | ৬৮১ |
• শেষ স্বাধিন রাষ্ট্র২ | ১৪২২ |
• Independence from Ottoman Empire | ১৮৭৮ |
• স্বিকৃত | ১৯০৮ |
আয়তন | |
• মোট | ১,১০,৯৩৩ কিমি২ (৪২,৮৩১ মা২) (১০৪তম) |
• পানি (%) | ২.১৬ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৬ আনুমানিক | ৭,১০১,৮৫৯[১] (১০২ তম) |
• ঘনত্ব | ৬৪.৯/কিমি২ (১৬৮.১/বর্গমাইল) (95th) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $152.374 billion[২] (76th) |
• মাথাপিছু | $21,578 (62nd) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৭ আনুমানিক |
• মোট | $55.954 billion[২] (৮১তম) |
• মাথাপিছু | $৭,৯২৪ (৭৫তম) |
জিনি (২০১৬) | 38.3[৩] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫) | 0.794[৪] উচ্চ · 56th |
মুদ্রা | লেভ৩ (BGN) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+২ |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+৩ |
কলিং কোড | ৩৫৯ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .bg4 |
|
বুলগেরিয়া (বুলগেরীয় ভাষায়: България ব্যেল্গারিয়া আ-ধ্ব-ব: [bɤlˈgarijə]), সরকারী নাম বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্র (বুলগেরীয় ভাষায়: Република България রেপুব্লিকা ব্যেল্গারিয়া আ-ধ্ব-ব: [rɛˈpubliˌkə bɤlˈgarijə]), দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। দেশটি বলকান উপদ্বীপের পূর্ব পার্শ্বে ইউরোপ ও এশিয়ার ঐতিহাসিক সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এর পূর্বে কৃষ্ণ সাগর, দক্ষিণে গ্রিস ও তুরস্ক, পশ্চিমে সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রো এবং ম্যাসিডোনিয়া, এবং রোমানিয়া অবস্থিত। এখানে প্রায় ৭৭ লক্ষ লোকের বাস। সোফিয়া বুলগেরিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
বুলগেরিয়া পর্বত, নদনদী ও সমভূমির দেশ। উত্তর বুলগেরিয়ার পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বলকান পর্বতমালা প্রসারিত। বলকান পর্বতমালার নামেই অঞ্চলটির নাম হয়েছে বলকান। তবে বুলগেরীয়রা এগুলিকে Stara Planina বা প্রাচীন পর্বতমালা নামে ডাকে। ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী দানিউব বুলগেরিয়ার উত্তর সীমান্ত গঠন করেছে।
পশ্চিমে সোফিয়া এবং পূর্বে কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত নিম্নভূমিটি গোলাপের উপত্যকা নামে পরিচিত। তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এখানকার কৃষকেরা কাজালনুক গোলাপের চাষ করে আসছেন। এই গোলাপের তৈল নির্যাস অত্যন্ত দুর্লভ এবং বুলগেরিয়ার অন্যতম রপ্তানি পণ্য। বুলগেরিয়ার পূর্বে কৃষ্ণ সাগরের উপকূল উত্তরে খাড়া পার্বত্য ঢাল থেকে দক্ষিণে বালুকাময় সৈকতে নেমে এসেছে। এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বিশ্ব থেকে লোক বেড়াতে আসে। উত্তরের পর্বতমালাতে শীতকালে ভারী বরফ পড়ে; ফলে শীতকালীন ক্রীড়ার জমজমাট আসর বসে এখানে।
ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বুলগেরিয়াকে নিয়ে বহু শক্তির প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা হয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে এটি একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। মধ্যযুগে এসে দীর্ঘ সময় ধরে একটি প্রধান শক্তি ছিল। প্রথম বুলগেরীয় সাম্রাজ্যের সময় (৬৩২/৬৮১—১০১৮) এখানকার শাসকেরা বলকান উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকা শাসন করেছেন। এখানকার খ্রিস্টান অর্থডক্স ধর্ম, সংস্কৃতি দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপীয় বহু স্লাভীয় জাতিকে প্রভাবিত করেছে। পূর্ব ইউরোপের ভাষাগুলির লিখন পদ্ধতিতে প্রচলিত সিরিলীয় লিপি বুলগেরিয়াতেই উদ্ভাবিত হয়। দ্বিতীয় বুলগেরীয় সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের শেষে ১৩৯৩ সালে দেশটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। প্রায় ৫০০ বছর উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে শাসিত হবার পর ১৮৭৮ সালে সান স্তেফানোর চুক্তির মাধ্যমে বুলগেরিয়া একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯১২-১৯১৩ সালের প্রথম বলকান যুদ্ধে জয়ী হলেও ২য় বলকান যুদ্ধে দেশটি হেরে যায় এবং গ্রিস, সার্বিয়া ও রোমানিয়ার কাছে অনেক এলাকা হারায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা দেশটির দখলে ছিল। এসময় সোভিয়েত সরকারের সমর্থনে একটি সাম্যবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সাম্যবাদী শাসনের সময় বুলগেরীয় নেতারা প্রধানত কৃষিভিত্তিক দেশটির অর্থনীতির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি শিল্পায়ন প্রকল্প শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কারের আগ পর্যন্ত বুলগেরিয়া একটি সাম্যবাদী রাষ্ট্র ছিল। ১৯৯০ সালে বুলগেরিয়াতে যুদ্ধের পর প্রথমবারের মত বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এর নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বুলগেরিয়া থেকে বদলে বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্র রাখা হয়।
গণতন্ত্র ও মুক্ত বাণিজ্যের পথে রূপান্তর বুলগেরিয়ার জন্য সুখপ্রদ হয়নি। সাম্যবাদের পতন এবং বুলগেরীয় পণ্যের সোভিয়েত বাজারের বিলোপ ঘটায় দেশটির অর্থনীতির প্রবল সংকোচন ঘটে। মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের ঊর্ধগতি, অবারিত দুর্নীতি, এবং সমাজকল্যাণ ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটায় জীবনযাত্রার মানের চরম পতন ঘটে। অনেক বুলগেরীয় দেশ ছেড়ে চলে যান। বুলগেরীয় সরকার ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে গৃহীত সংস্কারগুলির ব্যাপারে অটল থাকলে ধীরে ধীরে বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জিত হয়। দেশটি ২০০৪ সালের মার্চে নেটোর এবং ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ
[সম্পাদনা]ভূগোল
[সম্পাদনা]অর্থনীতি
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]বুলগেরিয়ার ৮০%-এর বেশি লোক বুলগেরীয় অর্থোডক্স গির্জার খ্রিস্টধর্মের অনুসারী বা এর সাথে সম্পর্কিত। প্রায় ১২% লোক ইসলাম ধর্মের অনুসারী। মূলত উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলে আগত তুর্কি বসতিস্থাপকদের মধ্যে ইসলাম প্রচলিত।
বুলগেরীয় ভাষা বুলগেরিয়ার সরকারি ভাষা এবং এই ভাষাতে দেশটির প্রায় ৮৫% লোক কথা বলে। সংখ্যালঘু ভাষাগুলির মধ্যে তুর্কি, আলবেনীয়, আর্মেনীয়, গাগাউজ, গ্রিক, ম্যাসেডোনীয় এবং রোমানীয় ভাষা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বুলগেরিয়াতে জিপসি বা রোমানি ভাষা ব্যবহারকারী একটি উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী বাস করে। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে রুশ, জার্মান এবং ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ NSI Census data 2015।
- ↑ ক খ "Bulgaria"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "Gini coefficient of equivalised disposable income (source: SILC)"। Eurostat Data Explorer। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Human Development Report 2015" (পিডিএফ)। HDRO (Human Development Report Office) United Nations Development Programme। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |